বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাজিরপুরের একমাত্র শহীদ রফিকুল
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শারীরিক, মানসিক ও লেখনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী সাবেক শিবির নেতা বর্তমান জামায়াত নেতা পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাতকাছেমিয়া গ্রামের মো. আব্দুল জব্বার শিকদারের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শহীদ হয়েছেন। তিনি গত ১৯ জুলাই অফিস থেকে বেরিয়ে মানিকনগর বিশ্বরোডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে কর্মসূচি শেষ করে মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন, অতঃপর তিনি আর ফিরে আসেন নাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তার স্ত্রী ও সন্তান জানতে পারে তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে হঠাৎ গত পরশু (৯ আগস্ট) কে বা কারা তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু গতকাল রফিকুল ইসলামের ভাইয়েরা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে গেলে ছবি দেখে রফিকুল ইসলামের লাশ শনাক্ত করেন।
সে সূত্রে জানা যায়, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম গত ২৪ জুলাই বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে রায়ের বাজারে অসংখ্য লাশের সাথে রফিকুল ইসলামকে দাফন করেছে। স্বজনরা বলছেন, লাশ শনাক্ত করে দেখা যায় ঘাতকরা রফিকুল ইসলামকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করেছে। যা নাৎসি বাহিনীকে হার মানিয়েছে।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এক স্ত্রী এক ছেলে রেখে গিয়েছেন, ছেলে বর্তমানে তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন।