শিক্ষার্থী
ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ, চট্টগ্রাম
মৃত্যু তারিখ : ১৬ জুলাই, ২০২৪
পিতা: মো: জাকির হোসেন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে চট্টগ্রাম থেকে লাশ হয়ে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন ফয়সাল আহম্মেদ শান্ত। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রামের মুরাদপুর ২ নং গেটের মাঝামাঝি জায়গায় কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিতে নিহত হন তিনি।
ফয়সাল আহমেদ শান্ত চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জের পূর্ব রহমতপুর এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে। ছোট বেলা থেকে বেড়ে উঠেন একই উপজেলার মহিষাদী গ্রামের নানার বাড়িতে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নানা বাড়িতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় স্বজনদের আহজারিতে স্তব্দ হয়ে উঠে পুরো এলাকা। পরে জোহর নামাজ শেষে মানিককাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয় তাকে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলনরত অবস্থায় মুরাদপুর এলাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ফয়সাল। তার মৃত্যুর খবরে বাবুগঞ্জে নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল না। প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। তখন গুলিবিদ্ধ হয়। তার তিনটি গুলি লেগেছিল। সে শহিদ হয়েছে।’
শান্তর প্রতিবেশী আলাউদ্দিন বলেন, শান্ত একেবারে শান্তশিষ্ট। স্কুল জীবন ও দেখেছি সে কখনও কারো সঙ্গে ঝগড়াও করেননি। তার মতো ছেলেকে গুলি করে মারবে এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি।
তথ্যসূত্র: সময় নিউজ