julymassacrearchive.org

শহীদ মারুফ হোসেন

শিক্ষার্থী

একতা ডিগ্রী কলেজ, বরিশাল

মৃত্যু তারিখ : ১৯ জুলাই, ২০২৪

পিতা: মো: ইদ্রিস 

শহীদ মারুফের বাবা বলেন, আমাকে আর বলে না বাবা তোমাকে আর কাজে যেতে হবে না। এখন আমার কাজ করে খাওয়া লাগে। গত ১৯ জুলাই বাড্ডা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয় আমার মারুফ হোসাইন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। তিন দিন পর আমি অর্ধগলিত লাশ নিয়েছি। এমন অবস্থা হয়েছিল- আমার আদরের সন্তানকেও চিনতে পারিনি।

তিনি বলেন, ২৬ জুলাই ডিজিএফআই ফোন দিয়ে বলেছে শেখ হাসিনা আপনাদের দেখবেন। সেই সময়টা আমাদের ওপর দিয়ে কী গেছে আমরা জানি। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতন না হলে আমাকেও আয়না ঘরে যেতে হতো। 

তিনি আরও বলেন, গত চার মাস আগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল থেকে একটা ফোনও পাইনি। মামলা কতটুক অগ্রগতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি। আমি কিসের বিচার চাই? কার কাছে বিচার চাই? কে বিচার করবে? কোনো ভরসা পাচ্ছি না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।

তথ্যসূত্র: ঢাকা পোস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top