গার্মেন্টসকর্মী

অভাব-অনটনের সংসারে জন্ম লিটন মিয়ার(১৮)। খরচ জোগাতে না পারায় তাকে পড়াশোনা করাতে পারেনি পরিবার। বাবা-মায়ের বোঝা একটু হালকা করতে অল্প বয়সেই পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। চাকরি নেন একটি গার্মেন্টসে। কিন্তু সংসারের চাকায় গতি আনার আগেই নিথর হয়ে গেছে এই তরুণ। জুলাই বিপ্লবে পুলিশের গুলিতে হারিয়েছেন জীবন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল ছিল গত বছরের পুরো জুলাই। আন্দোলন দমাতে একপর্যায়ে কারফিউ জারি করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। জনগণ বিদ্রোহ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে নামেন ছাত্র-জনতা। তাদের একজন ছিলেন লিটন মিয়া। তার বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়নের খামারপাড়ায়।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ছিল অন্যতম রক্তাক্ত দিন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে কারফিউ জারি করে গণহত্যাকারী সরকার। প্রথম দিনই বাড্ডা এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এই নির্মমতায় প্রাণ যায় গার্মেন্টস কর্মী লিটনের। আশপাশের পরিচিত জন ও সহকর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
লিটনের বাবা আবদুস সবুর মন্ডল বলেন, ‘আমার সাত সন্তানের মধ্যে লিটন সবার ছোট। পরিবারের সবচেয়ে আদরের ছেলে হলেও তাকে টাকার অভাবে পড়াতে পারিনি। পরিবারের সদস্যদের জন্য দু’মুঠো আহার জোগাতে গিয়েছিল ঢাকায়। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার বাহিনী তাকে বাঁচতে দেয়নি।’